গ্রীষ্মকাল নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা

গ্রীষ্মকাল মানে তপ্ত রোদ, আমের মিষ্টি ঘ্রাণ আর কাক ডাক দুপুর। গ্রীষ্ম ঋতু যতটা কষ্টের, ঠিক ততোটাই স্মৃতিমধুর। শহরে গ্রীষ্ম মানেই ঘামে ভেজা ক্লান্তি কিন্তু গ্রামে এই সময়টাতে আম কুড়ানোর মজা সাথে তাল পাতার পাখার বাতাস। আপনারা যারা গ্রীষ্মকাল নিয়ে উক্তি, বানী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা অনুসন্ধান করে চলেছেন, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা যুক্ত করেছি গ্রীষ্মকাল নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশনও কবিতা। আপনারা যারা এগুলো সংগ্রহ করার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে চলেছেন, তারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি থেকে সংগ্রহ করুন এবং সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন।
গ্রীষ্মকাল নিয়ে উক্তি
-
- গ্রীষ্মকালে আকাশ অকৃপণভাবে বাংলার মাটিকে দেয় প্রচণ্ড রৌদ্র ধারা।
-
- গ্রীষ্ম শেষে দারুণ দাবদাহে মানুষ হয়ে ওঠে দিশেহারা।
-
- গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপের প্রখরতা ও জ্বালায় সমস্ত প্রকৃতি হয়ে ওঠে হতশ্রী ।
-
- গ্রীষ্মের বিকেলে কালবৈশাখীর ঝড়,
তপ্ত মানুষজন হয়ে ওঠে আনন্দমুখর।
- গ্রীষ্মের বিকেলে কালবৈশাখীর ঝড়,
-
- ভয়ংকর রুদ্র ,রুক্ষ,শুষ্ক মূর্তি নিয়ে আবির্ভাব হয় গ্রীষ্মকালের।
-
- গ্রীষ্মকালে প্রখর দাবদাহের মধ্যেই ধ্বনিত হয় নববর্ষের আগমনী বার্তা ।
-
- সে আসবে ভেবে ভয় ,আসছে দেখলে আতঙ্ক, এসে গেলে অস্বস্তি ;
গ্রীষ্ম ছাড়া আর কি ?
- সে আসবে ভেবে ভয় ,আসছে দেখলে আতঙ্ক, এসে গেলে অস্বস্তি ;
-
- বাংলর জীবনপ্রবাহে গ্রীষ্মের শাসন মানে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা।
-
- গরমে ঝলসে যাচ্ছে দেহ
তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে মন
ওষ্ঠাগত এই জীবন।
- গরমে ঝলসে যাচ্ছে দেহ
-
- দুঃখদিনের সুখস্বপ্ন দেখার যে আনন্দ
দারুণ গ্রীষ্মে শ্রাবণ রাত্রির কল্পনাতেই সেই সুখ।
- দুঃখদিনের সুখস্বপ্ন দেখার যে আনন্দ
-
- বৈশাখ যেন রুদ্র ভৈরব ;এক সর্বব্যাপী রুক্ষতা বিরাজ করে চারিদিকে।
-
- গ্রীষ্মের দুপুরে চারপাশের জগৎ যেন কোনও এক আসন্ন মহাপ্রলয়ের অপেক্ষায় স্তব্ধ হয়ে থাকে ।
-
- গ্রীষ্মকাল প্রকৃতপক্ষে আলস্যের কাল।
গ্রীষ্মকাল নিয়ে কবি সাহিত্যিকের উক্তি
-
- আরাম-বিলাসের দিক দিয়ে
গরমকালটা একটু পিছিয়ে।
- আরাম-বিলাসের দিক দিয়ে
-
- বাংলা বছরের প্রথম
মাস হিসেবে বৈশাখের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। - ধু ধু রুক্ষ দুই চোখে প্রখর অগ্নিদাহ নিয়ে ক্রুদ্ধরূপে আবির্ভাব ঘটে রুদ্র তাপস গ্রীষ্মকালের।
- নির্দয় নিদাগ সূর্য গ্রীষ্মের তাপ দহনের অসহ্য জ্বালাময় তীর ছুঁড়ে মারে ধরিত্রীর বুকে
- বাংলা বছরের প্রথম
-
- গ্রীষ্মের অসহ্য দহনে ধরিত্রীর মৃন্ময় বক্ষ বিদীর্ণ হয়ে যায়; ফুটিফাটা হয়ে যায় দিগন্তশায়ী প্রান্তর।
- বঙ্গদেশে গ্রীষ্মকালে সর্বত্রই যেন মরুভূমির ধূ ধূ বিস্তার। ধরিত্রীর বুক থেকে উধাও প্রাণের চিহ্ন , শ্যামলতার কিঞ্চিৎ মাত্র আভাস ।
- গ্রীষ্মের দারুণ তাপদাহে সমগ্র জীবজগতে, উদ্ভিদ জগতে নেমে আসে প্রাণহীন, রসহীন বিবর্ণতার পাণ্ডুর ছায়া;
গ্রীষ্মের এ এক দুর্নিবার কায়া। - ধুলায় ধূসর রুক্ষ উদ্দীন পিঙ্গল জটাজাল নিয়ে তপক্লিষ্ট , তপ্ত তনু ,ভীষণ -ভয়াল গ্রীষ্ম ধরিত্রীর বুকে আসে এক অযাচিত অতিথি রূপে ।
- গ্রীষ্ম ফুলের ঋতু নয় ;ফুল ফোটাবার দায়িত্ব তার নেই ।ফলের ডালা সাজাতেই যে তার বেলা বয়ে যায়।
- গ্রীষ্মকালের সূর্যের প্রচণ্ড তাপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভূমি,
জল যায় শুকিয়ে ,
নদী হারায় তার নাব্যতা
জরাজীর্ণ মাটিতে ধরে ফাটল।
গ্রীষ্মকাল নিয়ে বাণী
-
- গ্রীষ্মের অলস দুপুরে
জানলার বাইরে তাকালে
চোখ যায় ঝলসে
কর্ম ক্ষমতা পায় হ্রাস
মানুষ হয়ে পড়ে আলসে । - মানব শ্রেণিতে যেমন তপস্বী
পর্বত পুরীতে যেমনে মৌন গম্ভীর শিখর
ঋতু চক্রে ও তেমনি গ্রীষ্ম কঠোর ,অনমনীয় ।
- গ্রীষ্মের অলস দুপুরে
-
- গ্রীষ্মের দহন থেকে পরিত্রাণের পথ নেই বললেই চলে।
- বাংলার ঋতুচক্রে গ্রীষ্মকাল যেন এক উদ্ধত কালভৈরব ।
- ধীর স্পর্ধিত পদক্ষেপে আগমন ঘটে গ্রীষ্মকালের।
- গ্রীষ্মের বিক্রম যতই বাড়ে
ততই শুষ্ক হতে থাকে ধরণীতল। - বেলা বাড়ার সাথে সাথে গ্রীষ্মের রৌদ্রকে মনে হয় বিভীষিকা
- গ্রীষ্ম যত এগোয় তার শাসনের বহরও তত বাড়ে। ভরা -গ্রীষ্মে প্রভাত ও হয় তপ্ত
সে আসে সারাদিনের দুঃখের ডালি হাতে। - কাজের মানুষ গ্রীষ্মের পীড়নে ক্রীতদাসের খাতায় নাম লেখান।
গ্রীষ্মকাল নিয়ে স্ট্যাটাস
- গ্রীষ্মকালের এক একটি দিন যেন মূর্তিমান এক -একটি পরীক্ষা স্বরূপ।
- গ্রীষ্মদিনে রুদ্রের প্রলয় বিষাণ কী নিষ্ঠুর রকম অর্থবহ!
- গ্রীষ্ম প্রকৃতিকে উদাস করে, মানব মনে আঁকে বৈরাগ্যের তিলক।
- গ্রীষ্ম যেন মানুষকে ভোগের তমো- জগত থেকে ত্যাগের তপো- জগতের দিকে টানে।
- হোম হুতাশন জ্বেলে নিষ্ঠুর বৈশাখ কেন রক্ত নয়ন মেলে দাঁড়ায়।
- প্রখর তপন তাপে জ্বলে ওঠে তপোবহ্নির শিখা ।
- অগ্নিবাণে হৃদয় তৃষ্ণার্ত গ্রীষ্মতাপসের নিঃশ্বাসে মুমূর্ষুর বিদায় নেবার পালা।
- সারা বছরের গ্লানি আর আবর্জনা দূরে সরাবার ইঙ্গিত বহন করে গ্রীষ্মকাল।
- গ্রীষ্মদিনে প্রলয় শঙ্খ বাজে বুঝি
মায়ার কুজ্ঝটিজাল হয় ছিন্ন
অগ্নিস্নানে শুভ্র -সূচি হয়ে ওঠে ধরণী। - গ্রীষ্মের আশ্বাস বিরাজ করে অন্যত্র ;
বকুল মালার গন্ধে, চাঁপার ছায়ায় ,বন যুথির সুবাসে। - গ্রীষ্ম যেমন দারুণ দহনবেলার রসহীনতার চিত্র ধরণীর বুকে আঁকে ,আবার বৈশাখী ঝড় এসে সকল জীর্ণতার অবসান ঘটিয়ে নতুনের আগমনের পূর্ব সংকেত প্রদান করে।
- গ্রীষ্মের কখন ও বা কঠোর রূপ, বৈরাগীর বেশ, অন্যদিকে তার রস-কোমলতা ও সৃষ্টির স্নিগ্ধতা ও চোখে পড়ে।
গ্রীষ্মকাল নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস
-
- শরীরের ভেতরটা করে দিলে ছারখার
বলো,এভাবে কি থাকা যায় আর??
বসন্তের রেশটুকু হয়নি যে পার
চেয়েছিলাম শীতলতার পরশ একটু
তাই কি ছিল আমার বাড়াবাড়ি???
গ্রীষ্মবাবু… তোমার সাথে আমার চিরকালের আড়ি!!! - নিঃশেষিত তনু ,ওষ্ঠাগত প্রাণ,
এই কষ্টের করা যাবে না বয়ান
কত মাস ধরে চলে এই দৃশ্য
নিস্তেজ করে ছাড়ে প্রখর এ গ্রীষ্ম
নিষ্ঠুর তুমি ,বোঝ না কি মানুষের কষ্ট?
ক্লান্ত পথিক তোমার তেজে হয়েছে আজ পথভ্রষ্ট।
দুর্বিষহ প্রখর তপ্ত দিনে
মানুষ যখন খোঁজে কিছুটা শীতলতার স্পর্শ
তুমি কেন করো না তার পরোয়া ?
মানবজাতির প্রতি হয় না কি দয়া?
ছারখার দেহে জ্বলনের দাগ সুস্পষ্ট
মানসিক পরিস্থিতি আজ সম্পূর্ণ বিনষ্ট ।
- শরীরের ভেতরটা করে দিলে ছারখার
-
- বেলা দ্বি-প্রহর
ধু-ধু বালুচর
ধূপেতে কলিজা ফাটে
পিয়াসে কাতর
আল্লাহ, মেঘ দে, পানি দে
ছায়া দে রে তুই
আল্লাহ, মেঘ দে। - প্রখর তপনতাপে
আকাশ তৃষায় কাঁপে
বায়ু করে হাহাকার।
- বেলা দ্বি-প্রহর
-
- মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। - অগ্নিশিখা, এসো এসো, আনো আনো আলো।দুঃখে সুখে ঘরে ঘরে গৃহদীপ জ্বালো ॥আনো শক্তি, আনো দীপ্তি, আনো শান্তি, আনো তৃপ্তি,
আনো স্নিগ্ধ ভালোবাসা, আনো নিত্য ভালো ॥
- মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
-
- দারুণ অগ্নিবাণে রে হৃদয় তৃষায় হানে রে॥
রজনী নিদ্রাহীন, দীর্ঘ দগ্ধ দিন
আরাম নাহি যে জানে রে॥
শুষ্ক কাননশাখে ক্লান্ত কপোত ডাকে
করুণ কাতর গানে রে॥ - চক্ষে আমার তৃষ্ণা
তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে।
আমি বৃষ্টিবিহীন বৈশাখী দিন,
সন্তাপে প্রাণ যায় যে পুড়ে।
- দারুণ অগ্নিবাণে রে হৃদয় তৃষায় হানে রে॥
-
- প্রখর দারুন অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন
যত দুরে চাই… নাই শুধু নাই
দিকে দিকে শুধু নাই নাই নাই।।
শুস্ক কানন তরু শাঁখে
বিরস কণ্ঠে পাখি ডাকে
বুক ফাটা পিয়াসায় অগ্নি
আকাশ পানে চাহে সদাই। - ঘাম ঝরে দর দর গ্রীষ্মের দুপুরে
মাঠ-ঘাট চৌচির,
জল নেই পুকুরে।’
- প্রখর দারুন অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন
- উন্মত্ত, তা বিক্ষিপ্ত বৈশাখের বায়ু
ধ্বংস করে না শুধু,
বাড়ায় সে পৃথিবীর আয়ু।
গ্রীষ্মকাল নিয়ে ক্যাপশন
- ঐ এল বৈশাখ, ঐ নামে গ্রীষ্ম,
খাইখাই রবে যেন ভয়ে কাঁপে বিশ্ব !
চোখে যেন দেখি তার ধুলিময় অঙ্গ,
বিকট কুটিলজটে ভ্রুকুটির ভঙ্গ,
রোদে রাঙা দুই আঁখি শুকায়েছে কোটরে,
ক্ষুধার আগুন যেন জ্বলে তার জঠরে !
মনে হয় বুঝি তার নিঃশ্বাস মাত্রে
তেড়ে আসে পালাজ্বর পৃথিবীর গাত্রে !
ভয় লাগে হয় বুঝি ত্রিভুবন ভস্ম- - এই গরমে কারেন্ট যেমন করে ধোঁকা দিচ্ছে, আমার এক্স এমনটা করে নাই!
- Dear গরম, Break Up করে চলে যা, আমি তোর জন্য আর Ready না।
- গরম আর এক্স, দুইটাই টক্সিক! একজন ঘাম ঝরায়, আরেকজন চোখের পানি!
- এই গরমে হ্যান্ড ফ্যান নিয়ে যে কেউ প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি রাজি।
- একমাত্র গরম আসলেই আমার মন হয়! আসলে আমার জন্ম ইউরোপের কোন দেশে ডিজার্ব করে!
- আজকের গরম শহীদ হওয়ার জন্য যতেষ্ট! এই গরমে যারা মইরা যাবে তাদের শহীদ হিসাবে গন্য করা হোক!
- গরম এত বেশি যে, ফ্রিজ খুলে দাঁড়িয়ে থাকাটাও এখন বিনোদনের অংশ।
- এই গরমে সামার লাভারদের খোঁজছি গাঢ়ানোর জন্য!
গ্রীষ্মকাল নিয়ে কবিতা
(১)
ওই এল বৈশাখ, ওই নামে গ্রীষ্ম,
খাই খাই রবে যেন ভয়ে কাঁপে বিশ্ব!
চোখে যেন দেখি তার ধলিমাখা অঙ্গ,
বিকট কুটিলজটে ভ্রূকুটির ভঙ্গ,
রোদে রাঙা দুই আঁখি শুকায়েছে কোটরে,
ক্ষুধার আগুন যেন জ্বলে তার জঠরে!
মনে হয় বুঝি তার নিঃশ্বাসমাত্রে
তেড়ে আসে পালাজ্বর পৃথিবীর গাত্রে!
ভয় লাগে, হয় বুঝি ত্রিভুবন ভস্ম—
ওরে ভাই, ভয় নাই, পাকে ফলশস্য!
তপ্ত ভীষণ চুলা জ্বালি নিজ বক্ষে
পৃথিবী বসেছে পাকে, চেয়ে দেখ চক্ষে,
আম পাকে, জাম পাকে, ফল পাকে কত যে,
বুদ্ধি যে পাকে কত ছেলেদের মগজে!
(২)
সর্বনেশে গ্রীষ্ম এসে বর্ষশেষে রুদ্রবেশে
আপন ঝোঁকে বিষম রোখে আগুন ফোঁকে ধরার চোখে।
তাপিয়ে গগন, কাঁপিয়ে ভুবন মাতলো তপন নাচলো পবন,
রৌদ্র ঝলে আকাশতলে অগ্নি জ্বলে জলেস্থলে।
ফেলছে আকাশ তপ্ত নিশাস, ছুটছে বাতাস ঝলসিয়ে ঘাস,
ফুলের বিতান শুখনো শ্মশান, যায় বুঝি প্রাণ, হায় ভগবান!
দারুণ তৃষায় ফিরছে সবায় জল নাহি পায়, হায় কি উপায়,
তাপের চোটে কথা না ফোটে, হাঁপিয়ে ওঠে, ঘর্ম ছোটে।
বৈশাখী ঝড় বাধায় রগড়, করে ধড়ফড় ধরার পাঁজর,
দশ দিক হয় ঘোর ধূলিময়, জাগে মহাভয় হেরি সে প্রলয়,
করি তোলপাড় বাগান বাদাড় ওঠে বার বার ঘন হুংকার,
শুনি নিয়তই, থাকি থাকি ওই হাঁকে হৈ হৈ, মাভৈ মাভৈ॥
‘গ্রীষ্মের দুপুরে’
-ফজলুর রহমান
ঘাম ঝরে
দরদর
গ্রীষ্মের দুপুরে
খাল বিল
চৌচির,
জল নেই পুকুরে।
মাঠে ঘাটে
লোক নেই,
খাঁ খাঁ করে রোদ্দুর।
পিপাসায়
পথিকের
ছাতি কাঁপে দুদ্দুর।
রোদ যেন
নয়, শুধু
গনগনে ফুলকি।
আগুনের
ঘোড়া যেন
ছুটে চলে দুলকি।
ঝাঁঝ মাখা
হাওয়া এসে
ডালে দেয় ঝাপটা!
পাতা নড়ে
ফুল পড়ে
বাপরে কি দাপটা!
বিল ধারে চিল বসে’
ঘন ঘন ডাকে রে।
মাঝি বসে ঢুল খায়
খেয়াঘাট বাঁকে রে।