আতঙ্ক নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, বাণী ও ক্যাপশন

আতঙ্ক হলো এক ধরনের গভীর মানসিক ভয়, যা হঠাৎ মন ও শরীরকে স্তব্ধ করে দেয়। আতঙ্ক আসে নিঃশব্দে, এসেই বুকের মাঝে ভর করে বসে। এটি কোন বাস্তব বিপদ নয়, বরং এটি অজানা, অনিশ্চিত, কল্পিত আশঙ্কা থেকে জন্ম নেয়া ভয়। আতঙ্কে চিন্তা ভাবনা অস্পষ্ট হয়ে ওঠে, হৃদিস্পন্দন বেড়ে যায় এবং নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে। কখনো শব্দ, কখনো বা নিস্তব্ধতা, সবই আতঙ্কের জন্ম দিতে পারে।

আপনারা যারা আতঙ্ক নিয়ে জানতে চাচ্ছেন, কিংবা অনলাইনে অনুসন্ধান করে চলেছেন, তারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ফলো করুন। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জন্য আতঙ্ক নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, বাণী ও ক্যাপশন নিয়ে এসেছি। আপনারা এগুলো সংগ্রহ করুন এবং সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন।

আতঙ্ক নিয়ে স্ট্যাটাস

    • কোনো দেশে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আতঙ্ক যদি না থাকে তবেই সেই দেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে পারবে।
    • মহামারী করোনার আতঙ্ক যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল, আমি তো ভেবেছিলাম আর সেই রমরমা বাজার হাট কখনও দেখতেই পাবোনা।
    • আচমকা একটি কালো মাকড়সা দেখলে, বা উঁচু কোন ভবনের ছাদে কোন ক্লাউনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠবেন না এমন মানুষ হয়তো কমই আছে।
    • আমার মনে সব সময় হেরে যাওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করে, তাই হয়তো আমি কোনো প্রতিযোগিতায় গিয়ে বিন্দুমাত্র ভুল করতে চাইনা।
    • বিশেষ কোন ব্যাপার বা জিনিস নিয়ে কারও কোনো আতঙ্ক বা ফোবিয়া থাকলে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে হবে।
    •  যেকোনো ব্যক্তির আতঙ্কের কারণ দ্রুত শনাক্ত করা এবং এর পরিত্রাণের উপায় বের করা খুব জরুরী। এই পরিত্রাণের পথই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। নয়তো, অনেকেই আছেন যাদের আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
    • ছোটবেলা থেকেই সারাবছর পড়াশুনায় ফাঁকি দিয়ে ঠিক পরীক্ষার আগের দিন রাতে ফেল করা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ঘুম ভুলে সব পড়া শেষ করার স্বভাব ছিল আমার।
    • গভীর রাতে খালি রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসার কথা ভাবলেও আতঙ্কে মন শিউরে ওঠে।
    • পৃথিবীতে ভিন্ন ধরনের মানুষ আছে, কেউ কেউ নির্ভয়ে পাপ করে চলেছে, আবার কেউ কেউ নরকে যাওয়ার আতঙ্কে পাপ কাজ থেকে দূরে সরে থাকে
    • ভূতের সিনেমায় বিশেষ দৃশ্য তৈরির জন্য আলোকসজ্জা বা লাইটিং থেকে শুরু করে ভয়ংকর মিউজিক এবং স্পেশাল এফেক্ট সব কিছুর ভূমিকা আছে, নাহলে দর্শকদের আতঙ্কগ্রস্ত করা কঠিন হয়ে উঠবে।

আতঙ্ক নিয়ে উক্তি

  • অনেক ছোট বয়স থেকেই আঁধার নিয়ে আমার মনে আতঙ্ক, তাই সবসময় হাতের পাশে টর্চ রাখি।
  • আশঙ্কা থেকেই মনে আতঙ্ক জাগে, তাই প্রথমে মন থেকে আশঙ্কা দূর করুন তবে দেখবেন আতঙ্ক নিজে থেকেই চলে যাবে।
  • পুরাকালে প্রতাপশালী  ব্যক্তির  ব্যভিচার ও অত্যাচারের  কারণে  সাধারণ জনগণ হয়ে থাকত আতঙ্কগ্রস্ত….শান্তি ও স্বস্তির খোঁজ করে চলত তাই তারা  প্রতিনিয়ত
  • ভয় তো লাগেই, তাও রাতে অন্ধকার ঘরে বসে ভূতের সিনেমা দেখে আতঙ্কে শিউরে ওঠার একটা আলাদা মজা আছে।
  • জীবনে বিপদ থাকবেই এবং সেই বিপদের মোকাবেলা করতে হবে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বার বার পালালে, ভয় পেলে বা ফাঁকি দিলে অবশেষে কখন জীবনটাই ফাঁকি হয়ে যাবে বুঝতে পারবেন না।
  • মেয়েদের জন্য সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হল হঠাৎ করে ঘরের কোনো অংশে আরশোলা দেখ
  • নতুন কোনো কাজ করা নিয়ে সকলের মনেই ভুল করে ফেলার আতঙ্ক থাকে, কিন্তু একবার কাজ টা ঠিক ঠাক মত করে নিতে পারলে সেই আতঙ্ক সারাজীবনের জন্য মন থেকে চলে যায়।
  • বাঘকে দেখলে হয়তো বনের অন্য জন্তুদের মনে আতঙ্ক হয়, কিন্তু আপনারা কি জানেন বুনো হাতি দেখলে যে বাঘের মনেও আতঙ্ক হয় !

আতঙ্ক নিয়ে বাণী

    • কোনও কিছু নিয়ে মনে আতঙ্ক থাকলে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, তাই মনের আতঙ্ক কে কাটিয়ে উঠুন।
    • রাতের নিঝুম অন্ধকারে মনে আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসে, তাই আমার রাতগুলো নিদ্রাহীন ভাবেই কেটে যায়।
    • সবার মনেই কিছু না কিছু নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করে, কেউ কেউ সেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারে আবার কেউ কেউ সারাজীবনেও তা পারেনা।
    • গণিতের সমাধান করা নিয়ে ছোটবেলা থেকেই আমার মনে আতঙ্কের বাস, কিন্তু একদিন আমি এই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠবই।
    • আমার আতঙ্ক তোমার থেকে দূরে থাকা নিয়ে নয়, বরং এত কাছে থেকেও তোমায় হারিয়ে যাওয়া নিয়ে।
    • মনে আতঙ্ক দানা বাঁধে, তাই অনেকে আড়ালে থেকে কারও সাথে পাপ হতে দেখেও নিজের প্রাণ রক্ষার্তে চুপ থাকে। 
    • আমি আমার আতঙ্ক নিজের মধ্যেই চেপে রাখি, আমি চাইনা মানুষ আমাকে ভীতু ভাবুক।
    • নিস্তব্ধ-পূর্ণ রজনী,নিদ্রাহীন নয়ন ৷থেকে থেকে বাড়াচ্ছে আমার শিহরণ ৷ভাবনার নেই কূল-কিনারা ৷গত আতঙ্কে সাহস হারা ৷কেন যে আমি গেলাম দেখতে ? জানলে কী আর যেতাম হেঁটে ৷

আতঙ্ক নিয়ে ক্যাপশন

    • সভ্যতার সু-সমাজ এগিয়ে চলে, দালাল আর বেশ্যাদের আস্তাবলে…ন্যাকামিপনা , বর্বরতার অন্ধকার ,রং মাখা মুখের খদ্দেরের গলি — পৃথিবীময় এক ছায়াযুদ্ধ ।একটি কাটা মাথার গোপন গুহা , যেখানে বিতংসী শরীরের নিঃশব্দ গর্জনে, শুধুই মিলনের আতঙ্ক।
    • কাঁটা-আগাছার মতো…অমঙ্গল নাম নিয়ে, আতঙ্কের জঙ্গল উঠেছে।চারিদিকে সারি সারি জীর্ণ ভিতে,ভেঙেপড়া অতীতের বিরূপ বিকৃতি।কাপুরুষে করিছে বিদ্রূপ।
    • আতঙ্কে আতঙ্কে দিন কাটে, লাশের ঘরে লাশের স্তূপ, পচা গলা দেহগুলো অবাঞ্ছিত, কেউ আজ দেখে না, দেখতে আসে না।ছন্দে ছন্দে আকাঙ্ক্ষাগুলো মুক্তির সন্ধানে।
    • চোখের পাতায় ঝলসানো আলো,ভীষণ জ্বালাপোড়া পোড়া রুটির আড়ালে।সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে আতঙ্কে আতঙ্কে…আকাশের তারাগুলো মিটমিট করে দেখছে।একলা পথ চলা একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে; শব্দগুলো রুদ্ধ; ভাষা হয়েছে বাক্যহীন,ছন্দ হারিয়েছে চলতি পথের বাঁকে।সবাই যখন হারায় তখন কবিতারা মুখ তুলে চায়…ঘুমোতে গেলেও নীরবে আর্তনাদ করে ওঠে-ব্যথা- যন্ত্রণার, হাসি-কান্নার আতঙ্কিত চাদরে।
    • আতঙ্ক, ঘোর আতঙ্ক…আতঙ্কবাদ হুঁশিয়ার, সূৰ্য্যলোকে উজ্জ্বল হয়ে আছে…শান্তির সমাহার।
    • ঘোর তিমিরঘন নিবিড় নিশীথে, পীড়িত মূর্ছিত দেশে, জাগ্রত ছিল তব অবিচল, মঙ্গল নতনয়নে অনিমেষে।দুঃস্বপ্নে আতঙ্কে রক্ষা করিলে অঙ্কে, স্নেহময়ী তুমি মাতা।
    • ওরা আমাদের গান গাইতে দেয়না পল রবসন, তীব্র নিখাদে গাওয়া নিগ্রো ভাই আমার, আমরা আমাদের গান গাই ওরা চায়না….ভালবাসায় ওদের আতঙ্ক, বীজ আর মাটিতে আতঙ্ক, আতঙ্ক স্রোতের জলে।আর কোন বন্ধুর হাতের স্মৃতি,যা চায়না কোন সুদ, কোন দস্তুরে। যে হাত তাদের মনিবন্ধে দু’দন্ড, পাখির মত কোনদিন বসেনি।আমাদের গান ওদের আতঙ্ক।
    • হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ, চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর…..ভয়-ভীত জনে কর হে নিঃশঙ্ক।।ধনুকে টঙ্কার হানো হানো, গীতার মন্ত্রে জীবন দানো; ভোলাও ভোলাও মৃত্যু-আতঙ্ক।।
    • চারিদিকে আতঙ্ক বম বম বম্বে, ভয়ে আটখানা হয় দিল্লীকা বিল্লি, লাগেনা লাগেনা লাগেনা কোন কম্মে।
    • দশরথ । অজ্ঞানে করো হে ক্ষমা তাত, ধরি চরণে,কেমনে কহিব, শিহরি আতঙ্কে ! আঁধারে সন্ধানি শর খরতর, করী-ভ্রমে বধি তব পুত্রবর, গ্রহদোষে পড়েছি পাপ পঙ্কে !

শেষ কথা: আতঙ্ক আমাদের ভয় দেখায় না বরং নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। আমাদের উচিত আতঙ্কের নিয়ন্ত্রণে না গিয়ে আতংককে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *