প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ছন্দ ও কবিতা

সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি হলো প্রকৃতি। নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, খাল-বিল, নদী-নালা সবকিছুই ঈশ্বর নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন আমাদের চোখ জুড়ানোর জন্য। সবকিছু মিলিয়ে এক অপার শান্তির মেলা। যে সৌন্দর্য শুধু চোখে নয় মনেও আনে এক প্রশান্তি। ভোরের সূর্যোদয় আমাদের শেখায় নতুন কিছু শুরু করবার সুযোগ এবং সূর্যোদয় শেখায়, প্রতিটি শেষের মাঝেই থাকে নতুন আশার সম্ভাবনা। প্রকৃতিপ্রেমী বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি সকলে অনেক ভালো আছেন। আমরাও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে তুলে ধরেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ছন্দ ও কবিতা।

আপনারা যারা অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে অনুসন্ধান করে চলেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ছন্দ ও কবিতা, আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তাদের স্বাগতম। আপনারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ফলো করুন এবং সংগ্রহ করুন আমাদের আজকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে বাছাইকৃত খুব সুন্দর সুন্দর কিছু উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ছন্দ ও কবিতা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে উক্তি

  • গ্রাম মানেই মুক্ত আকাশ আর অপার শান্তি। নিঃশ্বাস নিতে সবুজের সৌরভে, ফিরে যাই গ্রামের কোলে।
  • প্রকৃতির সান্নিধ্যে, যেখানে হৃদয় খুঁজে পায় শান্তি, এটাই আমার প্রিয় গ্রাম।
  • গ্রামের প্রতিটি কোণে লুকিয়ে থাকে শৈশবের স্মৃতি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
  • পাখির কূজন, আর নদীর কুলুকুল ধ্বনি মিলে গড়ে ওঠে গ্রামের মনোরম পরিবেশ।
  • শহরের কোলাহল থেকে দূরে, গ্রামের নিরিবিলিতে খুঁজে পাই জীবনের আসল অর্থ।
  • গ্রামের আকাশটা একটু বেশিই নীল, মাঠের বাতাসটা একটু বেশিই শান্ত। শহরের ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মন পড়ে থাকে সেই কাঁচা রাস্তার ধুলোমাখা শৈশবে।
  • গাছের ছায়া, নদীর কলকল ধ্বনি, আর মাঠের সবুজ কার্পেট! এসব এখন শুধুই স্মৃতির পাতায়। শহরের দালানের জানালা খুললে, সেই মুক্ত বাতাসটা আর আসে না।
  • শহরের ইট-পাথরে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ মনে পড়ে, গ্রামের সেই কুয়াশার সকাল, টগবগে গরুর গাড়ি, সরষে ফুলের গন্ধ। আহ! সত্যিই, মনটা পড়ে আছে গ্রামেই।
  • সকালবেলা চোখ খুলেই যদি দেখতাম কুয়াশায় ঢাকা ধানক্ষেত, দূরে বাঁশবাগান, কিচিরমিচির পাখির ডাক, তাহলে হয়তো মনটা এভাবে হাঁপিয়ে উঠত না।
  • গ্রামের সন্ধ্যা মানেই মাঠে দিগন্ত বিস্তৃত আলো-আঁধারের খেলা, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর বুক ভরা প্রশান্তি। শহরে এসেছি, কিন্তু আত্মাটা এখনও গ্রামেই রয়ে গেছে।
  • শহরের বিল্ডিংগুলো আকাশ ছুঁতে চায়, আর গ্রামের গাছেরা শুধু মাটির সাথে বাঁধন রেখে বড় হতে চায়। কাকে যেন বেশি ভালো লাগে, তা বলতেও পারি না।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে বাণী

  • শহরে থাকি, কিন্তু চোখ বন্ধ করলেই দেখি, মাটির ঘর, দুধসাদা কুয়াশা, মায়ের রান্নার গন্ধ আর খোলা আকাশ। আহ, গ্রাম। তুমি কি আমায় ভুলে গেছ।
  • যেখানে দিগন্ত জুড়ে শুধু সবুজের সমারোহ, যেখানে বাতাসে মিশে থাকে প্রকৃতির মিষ্টি ঘ্রাণ, সেই গ্রামই তো প্রকৃত ভালোবাসার ঠিকানা। চোখ জুড়ানো মাঠ, মন জুড়ানো শ্যামল প্রকৃতি।
  • সবুজ মাঠের বুক চিরে বয়ে যাওয়া সরু মেঠোপথ, দু’পাশে দুলতে থাকা সোনালি ধানের শিষ। শহরে থেকেও মনটা পড়ে থাকে গ্রামের সেই প্রকৃতির কোলে।
  • শহরের কংক্রিটের দেয়ালগুলো কখনোই গ্রামের মাঠের মুক্ত প্রকৃতির মতো প্রশান্তি দিতে পারবে না। কাদামাখা পথ, নারকেল গাছের সারি আর বয়ে চলা বাতাস। আহ, কী অপূর্ব সবুজ গ্রাম।
  • গ্রামের প্রকৃতি মানেই চোখের সামনে এক বিশাল ক্যানভাস, যেখানে সবুজ রঙের ছোঁয়া লেগে আছে প্রতিটি কোণায়। যত দেখি, তত ভালো লাগে, তত মুগ্ধ হই।
  • ধানক্ষেতের উপর ভোরের শিশির, তালগাছের মাথায় বসে থাকা বকের দল, আর সেই বয়ে চলা নদীর শব্দ। গ্রামের প্রকৃতি যেন প্রকৃতির কাব্যগাঁথা। এমন সুন্দর সবুজের গ্রামকে কি ভালো না বেসে পারা যায়?
  • সবুজের গালিচা আর শান্তির মেলবন্ধন, যেখানে মাটির গন্ধে মিশে থাকে শৈশবের স্মৃতি। নিজ গ্রামের শান্তি আর কোথাও পাওয়া যায় না।
  • সবুজ শ্যামলিমায় ঘেরা, মাটির ঘ্রাণে ভরা, এটাই আমার গ্রাম।
  • যেখানে প্রকৃতি নিজেই কথা বলে, সেই স্থানই আমার প্রিয় গ্রাম।
  • নিজ গ্রামের ধুলোবালিতেও লুকিয়ে থাকে ভালোবাসা। যা সবাই উপলব্ধি করতে পারে না।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে স্ট্যাটাস

  • আমার গ্রামের বাড়ি, যেখানে প্রতিটি ভোর শুরু হয় পাখির কূজন, আর সন্ধ্যা শেষ হয় ঝিঁঝি পোকার আওয়াজে।
  • গ্রামের বাড়ি মানেই মাটির ঘ্রাণ, সবুজ ধানক্ষেত, আঁকাবাঁকা নদী, আর নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি।
  • মনের মাঝে সব সময় জাগ্রত থাকে গ্রামের বাড়ির মায়া। বাড়ির উঠোনে বসেই পৃথিবীর সব সুখ খুঁজে পাওয়া যায়।
  • শহরের কোলাহল থেকে দূরে, গ্রামই আমার প্রকৃত আশ্রয়।
  • গ্রামের বাড়ি থেকে শহরে যাওয়ার সময় এলেও, মন যেন পড়ে থাকে সেই মাটির বাড়ির আঙ্গিনায়।
  • খুব শীঘ্রই দেখা হবে প্রকৃতির সাথে, রওয়ানা হচ্ছি গ্রামের বাড়ির পথে।শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে, গ্রামের পথে চলেছি, যেখানে আমার শিকড়।
  • যেই মাটির টানে ফিরে আসি বারবার, সেই মাটিই আমার গ্রাম বাড়ির মাটি।
  • আমি একজন প্রকৃতি প্রেমী মানুষ!!! প্রকৃতি আমাকে খুব করে টানে। তাই সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়ি প্রকৃতি টানে।
  • প্রকৃতি আমাকে হাসায়, প্রকৃতি আমাকে কাঁদায়! প্রকৃতি আমাকে ভাঙ্গে গড়ে, প্রকৃতি আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
  • আমি সৃষ্টিকে ভালোবাসি, কারন তা স্রষ্টার সৃষ্টি! আমি প্রকৃতির মাঝে হারাই, কারন তা স্রষ্টার দৃষ্টি!
  • যেদিন থেকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসতে শুরু করলাম, সেদিন থেকেই নিজেকে জানতে শুরু করলাম।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে ছন্দ

  • প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যেতে চাই! জীবনকে প্রকৃতির রঙ, রূপ ও গন্ধে মাতিয়ে নিতে চাই।
  • প্রকৃতির দিকে শুধু অবাক বিস্ময়ে চেয়ে থাকতে আনন্দ! কেনোনা, প্রকৃতি তার বিশেষ এক রুপ নিয়ে ব্যস্ত।
  • যখন অন্তরে আপন মানুষ কষ্টের অনল জ্বালায়,, তখন দুদণ্ড শান্তির খোঁজে প্রকৃতির মাঝে হারাই।
  • প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চাই! আবার নতুন করে নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য।
  • বহু স্থানে ঘুরে ঘুরে প্রকৃতির মাঝে আমি খুঁজে বেড়াই, শান্তি সুখের পরশ! যেথা রয়েছে শুধুই অপার ভালোবাসার গল্প।
  • প্রকৃতি এমন একটা জিনিস, যা প্রত্যেকটা মানুষের মনকে নতুনত্ব দেয়, একটা নতুন ভালোলাগা সৃষ্টি করে।
  • প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে আজই হারিয়ে যেতে চাই! হতে চাই সুবিশাল আকাশের মতো বিস্তৃত।
  • প্রকৃতির সাথেই বারে বারে মিশতে ইচ্ছে করে!!!! তাই মাঝে মাঝে হারাই দূর দিগন্তে।
  • প্রকৃতি আমাকে শিখিয়েছে সুন্দর হতে। আমার চারপাশে যা কিছু আছে, সব কিছুকে সুন্দর করে দেখতে।
  • এই জীবনে প্রকৃতিই নিঃস্বার্থ! নইলে মানুষ তার স্বার্থের জন্য আপন মানুষকেও ছাড়ে না।
  • প্রকৃতির এই নির্মল সৌন্দর্যের অনুভূতি আমাকে শুধু হাতছানি দেয়! মন চলে যায় দিগন্ত ছোঁয়া আকাশ পানে।
  • আমারও হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে….. প্রকৃতির এই সৌন্দর্যের মাঝে! হতে চাই নির্ভেজাল প্রকৃতি প্রেমিক।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে কবিতা

গ্রীষ্মের গান

বন্ধু একটু দাড়া
এলোমেলো বাতাসের পাবি সাড়া
প্রেমিক হবে স্বচ্ছ আকাশ
প্রেমিক কৃষ্ণচূড়া।
বন্ধু একটু দাড়া!
হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি এসে
তোকেই শুধু ভালোবেসে
ভেজাবে তোর পাড়া!
বন্ধু একটু দাড়া!
এই শহরে বুনে দে আজ
সবুজ গাছের চাড়া।
ফুলে ফুলে ভরিয়ে দিতে
ভালোবাসার শপথ নিতে
সম্মুখে হাত বাড়া!
বাতাসটা খুব মিষ্টি হবে
সকাল বিকাল বৃষ্টি হবে
প্রেমিক হবে পাখির কুজন
প্রেমিক সন্ধ্যা তাঁরা।
বন্ধু একটু দাড়া!
এই শহরে বুনে দে আজ
সবুজ গাছের চাড়া।

চন্দ্র গ্রহণ

চাঁদের বুকে ম্লান করা অন্ধকারে
দীপ্তিতে ডুবে থাকা মানুষের হৃদয়
চন্দ্র পৃথিবী সূর্য যখন মুখোমুখি হয়
কত কত চন্দ্র বৎসর পরে !
ক্ষণিকের ছায়া প্রচ্ছায়া উপছায়া
গ্রাস হয়ে যাওয়া মাটির এই কায়া
রাত্রি গভীর হলে কি মধুর ছলে
অশান্ত সমুদ্র স্ফীত করতলে
জোয়ার ভাটায় রক্ত উঠে নামে
হৃদয়ের মাঝে হৃদয় এসে থামে,

পাংশু বিবর্ণ যদি হও রক্ত ক্ষরণে
হৃদয় কে সামলে রেখ হৃদয় গ্রহণে।

ফিরিয়ে দাও অরণ্য আমার

শেষ কবে জোছনা দেখেছ মনে আছে?
মনে নেই জানি, আরও চারশো বছর আগে
জোছনাকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে নিয়ন আলো,
তাইতো আজ রাজপথে পথ হারায়না কোন বল্গা হরিণ!
সন্ধ্যা নামলেই সব বন্ধা গলিতে গাঁঢ় অন্ধকার,
সাপ আর সরীসৃপের পরিত্যাক্ত বর্ণীল খোলস
হিশশ হিশশ শব্দ তোলে খদ্দের দালালের দরদাম আপোষ
ভাড়ায় ভালোবাসা কেনে সুখি হয় শহরের সব অতৃপ্ত মানুষ!

প্রসাধন নকল করেছে গোলাপ চামেলি বকুল,
নিঃশ্বাসের বিষক্রিয়ায় ফুটেছে কি করুন ফুল,
শুধু মুখ গুঁজে নারী পুরুষের শরীরের ক্লান্তিকর ঘ্রান নয়-
শেষ কবে বুক ভরে তাজা ফুলের ঘ্রান নিয়েছ মনে আছে?
জোছনা রাতে হাস্নাহেনার মায়াময় ঘ্রান?
মনে নেই জানি, আরও চারশো বছর আগে
নাগরিক নর্দমার নালা বেয়ে চলে গিয়েছিল পূর্ণিমার চাঁদ
অতঃপর দুর্গন্ধময় জলাশয়ে ভেসে উঠেছিল গলিত লাশের মতো।

ফেরা

চাইলেই একটি নদী শঙ্খচিল হয়ে উড়ে আসে
ফুল ফোঁটে, বৃষ্টি হয়, কবিতার মত জোছনা ভাসে,
আমি চাইলেই একটি মেঘ কাছে আসে, ছায়া দেয়,
দেয়ালে আলো ছাঁয়ার খেলায় প্রেয়সীর মুখ স্পষ্ট দেখতে পাই।

আমি এখনো নাগরিক শৃঙ্খল বেড়ি ভেঙ্গে দূর্বার স্বপ্ন দেখি
বিলয়প্রাপ্ত অরন্যে মৃগয়া ভূমি দেখে থমকে দাড়াই,
যখন কচি পাতার বুকে আলো হয়ে ঘুমায় কিশোরী সকাল-
আমি দুরন্ত বাতাসের সাথে ফিস ফিস করে গল্প করি
আমি কাল্পনিক পাখিদের সাথে তর্ক করে করে ক্লান্ত হই।

আমি তোমাদের পোড়া মাটির শহরে প্রাণ খুঁজে পাই নাকো আর,
যেই খানে নদী ছিল, সেই খানে ইটের পাহাড়!
এই শহরের রঙিন আলোর উত্সব ছেড়ে এক দিন
কোন এক বাঁধ ভাঙ্গা পূর্নিমার রাতে যদি মনে লয়
ঈশ্বর সৃষ্ট বুনো পৃথিবীতে আমি ফিরে যাব নিশ্চয়।

পুনর্জন্ম

যদি পরজনম থাকে
পরপার ঠিক নয়,
আমি পুনর্জন্মের কথা বলছি,
তবে আমি বাউল হয়ে জন্ম নিতে চাই।
গেরুয়া বসন, কাঁধ পর্যন্ত চুল, দাড়ি গোঁফ,
ডুগডুগি আর একতারা হাতে, গলা ভরা কি মিষ্টি সূর!
এই গ্রাম থেকে সেই গ্রামে, নগ্ন পায়ে হেটে হেটে
কবিতা আর গানের খোঁজে বাউলিয়া জীবন,
অচেনা গেরস্তের ঘরে সায়াহ্ন আহার শেষে
ফিরতি পথে আবার আসিবার আবেদন।

ওরাতো জানেনা বাউলদের কোন ফিরতি পথ থাকতে নেই!
বাউলতো এক মনে বয়ে চলা কুমারী নদীর জল,
শত ক্রোশ পথ ভেঙ্গে পাওয়া দেহতত্বের জ্ঞান বলে-
“ফিরে তাকাবার মায়া, ও তো সংসারীর শৃঙ্খল!”

আমি বাউল!
আমি সন্তপর্নে মায়ার ফাঁদ এড়িয়ে চলি,
আমি পাখি আর নদীর কথা বলি,
আমি জোছনা আর বৃষ্টির কথা বলি,
আমি মিষ্টি হেসে মাখি পথের ধুলো রোদ
আমার ভুবনে ভুবনে মায়ার সংসার পাতা পথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *