অন্ধকার নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা

রাত যত গভীর হয়, অন্ধকার ততই ঘন হয়ে আসে। শহরের কোলাহল থেমে গেলে, নিস্তব্ধতা চারিদিকে রাজত্ব শুরু করে। এই নিস্তব্ধতার মাঝেই অন্ধকার আমাদের ভেতরের আলোকে চিনতে সাহায্য করে। একটা সময় থাকে যখন আমরা অন্ধকারকে খুব ভয় পাই, সন্ধ্যে হলেই মায়ের আঁচলে মুখ লুকোই, তবে সময়ের সাথে সাথে বুঝতে শিখেছি যে সব অন্ধকার মানে সব সময় ভয় নয়। কখনো কখনো অন্ধকার আমাদের সবচেয়ে কাছের আলোকে চিনতে শেখায়। মাঝে মাঝে অন্ধকারের মাঝে আমরা আমাদের স্বপ্নকে স্পষ্ট দেখতে পাই।

দিনের আলোর ব্যস্ততা যেখানে চোখে পর্দা টেনে দেয়, অন্ধকার সেখানে ধীর গভীর অনুভব এনে দেয়। পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা অনলাইনে অনুসন্ধান করে চলেছেন অন্ধকার নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা, আমাদের আজকের আর্টিকেলে তাদের স্বাগতম। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অন্ধকার সম্পর্কে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু কথা নিয়ে সাজানো হয়েছে, আপনারা যারা সংগ্রহ করার জন্য অনুসন্ধান করে চলেছেন তারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি থেকে সংগ্রহ করুন এবং নিজের ভেতরের অন্ধকার দূর করে আলো জ্বালিয়ে তুলুন।

অন্ধকার নিয়ে উক্তি

    • “যখন অন্ধকার আসে তখন আলোর দিকে নজর রাখুন।”
    •  “রাতের অন্ধকার খারাপ নয়, কারণ রাত না হলে নক্ষত্রদের ঔজ্জ্বল্য আমাদের চোখে ধরা পড়তো না।”
    •  “অন্ধকারকে ভয় না পেয়ে আলোর সন্ধান করুন, তবেই আপনার জীবনে সূর্য আসবে।”
    • “অন্ধকার আলোর মহিমা ঘোষণা করে।”
    • “প্রত্যেক মানুষের দুটি পৃথিবী আছে। একটি হল- আলোয় ভরা পৃথিবী, অপরটি হল- অন্ধকারছন্ন পৃথিবী।”
    • “শুধুমাত্র অন্ধকারেই আপনি তারা দেখতে পারবেন।”
    • মানুষ যে সমস্ত বিষয় গুলিকে ভয় পায় তার মধ্যে অন্ধকার অন্যতম, কারণ আমরা জানিনা যে, অন্ধকারে আমাদের সাথে কি ঘটতে চলেছে বা সেখানে কি লুকিয়ে আছে।
    • “আমরা সবাই অসীম শক্তির অধিকারী। কিন্তু চোখে হাত রেখে তবু আমরা মাঝে মাঝে বলি- চারিদিকটা কি অন্ধকার।”
    • “অন্ধকারকে অভিশাপ দেওয়ার চেয়ে একটি মোমবাতি জ্বালানো ভালো।”
    • “সকল অন্ধকার দূর হয়ে গেল, যখন আমি আমার হৃদয়ের মধ্যে প্রদীপটি দেখলাম।”
    •  “শিক্ষা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনে।”
  • “আমি অন্ধকারে হাঁটছি যাতে অন্যরা আলো দেখতে পারে।”
  •  “মানুষের অস্তিত্বের একমাত্র উদ্দেশ্য হল- নিছক সত্তার অন্ধকারে আলো জ্বালানো।”
  • “কারো অন্ধকার দিকটা জানলে তবেই বুঝতে পারবে সে কেমন। কারো অন্ধকার দিকটিকে ক্ষমা করতে পারলে তবেই কেবলমাত্র জানতে পারবে যে ভালোবাসা কি?”
  •  “আলোকে উপলব্ধি করার আগে হয়তো অন্ধকারকে জানতে হবে।”

অন্ধকার নিয়ে বাণী

  • “আমি মনে করি, আমাদের সবার ভিতরে আলো এবং অন্ধকার দুটোই রয়েছে।”
  • “আমি আলোতে একা না থেকে অন্ধকারে বন্ধুর সাথে হাঁটতে চাই।”

 

 

  • “পৃথিবীর সমস্ত অন্ধকার একটি মোমবাতির আলো দূর করতে পারে না।”
  • “অন্ধকার যতোই বিস্তৃত হোক না কেন, আমাদের নিজেদেরই আলো সরবরাহ করতে হবে।”
  • “আলো এবং অন্ধকারের আন্তঃপ্রবেশ থেকে রঙের জন্ম হয়।”  “প্রতিটি অন্ধকার রাতের জন্য একটি উজ্জ্বল দিন আছে।”
  • “আমরা সকলেই আমাদের ভিতরে আলো এবং অন্ধকার উভয়ই পেয়েছি। ”
  • অন্ধকার মানে সবসময় খারাপ জিনিস নয়। কারণ অন্ধকার না থাকলে আমরা কখনই রাতের চাঁদ এবং তারার সৌন্দর্য দেখতে পেতাম না।
  • “অন্ধকারের সাথে লড়াই করো না। তার পরিবর্তে আলো নিয়ে এসো, অন্ধকার দূর হয়ে যাবে।”
  • আশা হারাবেন না, অন্ধকার দিনগুলি শীঘ্রই শেষ হবে এবং আপনি শীঘ্রই আবার সোনালী সময় দেখতে পাবেন।

অন্ধকার নিয়ে স্ট্যাটাস

  •  “পৃথিবীতে অন্ধকার আছে বলে আমরা আলোর গুরুত্ব বুঝতে পারি।”
  •  “আমরা একটি অন্ধকার অতল গহ্বর থেকে এসেছি; আমরা একটি অন্ধকার অতল গহ্বরে শেষ হই; আর এর মধ্যবর্তী উজ্জ্বল স্থানটিকে জীবন বলে।”
  • “যেকোনো কিছুতেই অন্ধকার এবং আলো থাকতে হবে। আমার আঁকা ছবিতে অনেক আনন্দ আছে এবং অনেক অন্ধকার আছে।”
  • “আপনি একবার আপনার স্বার্থপর আত্মাকে জয় করতে পারলে, আপনার সমস্ত অন্ধকার আলোতে পরিবর্তিত হবে।”
  • “মানুষ কখনই অন্ধকারে হাসে না। হাসতে হয় আলোয়, আর কাঁদতে হয় অন্ধকারে।”
  • “অতিরিক্ত উজ্জ্বলতা কবিকে অন্ধকারে নিয়ে যায়।”
  • “প্রত্যেক মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, সে সৃজনশীল পরোপকারের আলোয় চলবে নাকি ধ্বংসাত্মক স্বার্থপরতার অন্ধকারে।”
  • “যতক্ষণ তোমার আলো আছে ততক্ষণ হাঁটো, পাছে অন্ধকার তোমার উপর না আসে।”
  • “অন্ধকার অন্ধকারকে তাড়াতে পারে না; কেবল আলোই অন্ধকারকে তাড়াতে পারে।ঘৃণা দিয়ে ঘৃণা দূর করা যায় না, কেবল ভালোবাসা দিয়ে ঘৃণা দূর করা যায়।
  • “সব কালো জিনিসই খারাপ নয়। রাতের অন্ধকার কালো হতে পারে, কিন্তু তার সৌন্দর্য্যও কখনো কখনো তুলনাহীন।”

অন্ধকার নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস

    • “সব কালো জিনিসই খারাপ নয়। রাতের অন্ধকার কালো হতে পারে, কিন্তু তার সৌন্দর্য্যও কখনো কখনো তুলনাহীন।”
    • “উদীয়মান সূর্য রাতের অন্ধকার দূর করতে পারে। কিন্তু মানবতার হৃদয় থেকে বিদ্বেষ, ঘৃণা, গোঁড়ামি এবং স্বার্থপরতার কালো দূর করতে পারে না।”
    •  “যার জীবনে যত ভুল তার জীবনে তত মঙ্গল। অন্ধকারের অলিগলি পার হয়েই তো আমরা আলোর সন্ধান পাই।”
    • “আলো অন্ধকারে জ্বলে এবং অন্ধকার কখনই তা নিভাতে পারে না।”
    •  “ভালোবাসো এমন কাউকে যে তোমাকে শত কান্নার মাঝেও হাসাতে পারে, কারণ শুধুমাত্র হাসিই পারে একটা অন্ধকার দিনকেও প্রভাতের ন্যায় উজ্জ্বল করে তুলতে।”
    • “জীবনে কখনো কারো উপর খুব বেশি নির্ভর করবে না, কারণ অন্ধকারে তোমার ছায়াও তোমাকে ছেড়ে চলে যায়।”
    •  “অন্ধকারকে অভিশাপ না দিয়ে চেষ্টা করো সেই অন্ধকার দূর করতে অন্তত একটা মোমবাতি জ্বালানোর। তাহলে তুমি বাকিদের থেকে অনেক আলাদা হয়ে যাবে।”
    •  “আমরা সবাই চাঁদের মত, কারণ কখনও কখনও আমাদের অন্ধকার দিকগুলি আমাদের আলোকে ছাপিয়ে যায়।”
    • “জীবন হল অন্ধকারে এক দীর্ঘ সংগ্রাম।”
    •  “আমার একটি অন্ধকার দিক আছে, এটি এমন একটি দিক যা মানুষ দেখতে পায় না। আমি মনে করি প্রত্যেকেরই এই রকম একটি অন্ধকার দিক আছে।”
    • “অন্ধকারে আলো ছড়িয়ে দেওয়ার দুটি উপায় আছে: হয় তুমি মোমবাতি হয়ে আলো বিকিরণ করো, আর না হয় এমন একটি আয়না হয়ে ওঠো যে অন্য কোনো মোমের আলোকে প্রতিফলিত করতে পারে।”
    • “ঠিক যেমনভাবে অন্ধকার রাতের আকাশে নক্ষত্রেরা উজ্জ্বলভাবে অবস্থান করে, তেমন ভাবেই ভালো বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় গুলোও জীবনের আকাশে উজ্জ্বল হয়ে থাকে।”

অন্ধকার নিয়ে ক্যাপশন

    • “ঠিক যেমনভাবে অন্ধকার রাতের আকাশে নক্ষত্রেরা উজ্জ্বলভাবে অবস্থান করে, তেমন ভাবেই ভালো বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় গুলোও জীবনের আকাশে উজ্জ্বল হয়ে থাকে।”
    • “জীবন হল অন্ধকারে এক দীর্ঘ সংগ্রাম।”
    •  “আমার একটি অন্ধকার দিক আছে, এটি এমন একটি দিক যা মানুষ দেখতে পায় না। আমি মনে করি প্রত্যেকেরই এই রকম একটি অন্ধকার দিক আছে।”
    • “যারা অন্ধকারকে ভয় পায়, তারা জানে না আলোর ক্ষমতা কতোটা। যারা একাকীত্বকে ভয় পায়, তারা জানে না কারো সঙ্গ কিভাবে আনন্দ দিতে পারে।”
    • “আলোকে উপলব্ধি করার জন্য আপনাকে অন্ধকারের সম্মুখীন হতে হবে।”
    • “ অন্ধকার আকাশেই আমরা সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা দেখতে পাই।”
    • “আলোকে এতো উজ্জ্বলভাবে আলোকিত করার জন্য, অন্ধকারের উপস্থিত থাকতে হবে।”
    • “অন্ধকার আলোর বিপরীত নয়, আলোর অনুপস্থিতি। তেমনি সমস্যা সমাধানের বিপরীত নয়, সদ্ভাবনার অনুপস্থিতি।”
    • “তুমি যখন আলোর দুনিয়ায় থাকবে, সব কিছু তোমাকে অনুসরণ করবে। কিন্তু অন্ধকারে প্রবেশ করলে নিজের ছায়াও তোমাকে ত্যাগ করবে।”
    • “প্রতিটি মানুষ চাঁদের মতো, যার একটা অন্ধকার দিক আছে। কিন্তু সে দিকটা সে কাউকে দেখাতে চায় না।”
    •  “আলো এবং অন্ধকারের প্রতিটি মুহূর্ত একটি অলৌকিক ঘটনা।”
    •  “অন্ধকারের মাঝে আলো টিকে থাকে।”
    • গাঢ় অন্ধকার থেকে আমরা এ-পৃথিবীর আজকের মুহূর্তে এসেছি। বীজের ভেতর থেকে কী ক’রে অরণ্য জন্ম নেয়, জলের কণার থেকে জেগে ওঠে নভোনীল মহান সাগর, কী ক’রে এ-প্রকৃতিতে—পৃথিবীতে, আহা, ছায়াচ্ছন্ন দৃষ্টি নিয়ে মানব প্রথম এসেছিল, আমরা জেনেছি সব,—অনুভব করেছি সকলই।
    • অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেই তো তোমার আলো। সকল দ্বন্দ্ব-বিরোধ-মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেই তো তোমার ভালো।

অন্ধকার নিয়ে ছন্দ

(১)

এই যুদ্ধের দিনগুলো পেরিয়ে যেতে
তুমি বন্ধুর মতো কিছু সাহস দিও
ওই সঞ্চয় ফলে আছে সময়ক্ষেতে
সেই শস্যের রং আজও অতুলনীয়
কিছু সাহস দিও
এই অন্ধকারের রাত সহ্য হলে
জেনো পৌঁছে যাবই, শুধু হাতটা ধোরো
হাওয়া উথালপাথাল, পথে নিশান দোলে
দ্যাখো মিলে যাবে বন্দর-গ্রাম-শহরও।

(২)

আমি বুঝিনা ওরা নেশা কেন করে।
কারো হাতে গাঁজা, কারো হাতে মদ।
হিরোইন-আফিম আর চলছেনা আজকাল;
ইয়াবার বড়িটাই বেশি খায় ওরা,
মিনিমাম সিগারেট গুঁজে রাখে মুখে।
আমি বুঝিনা এতো মাদকদ্রব্যের কি দরকার!
আমাকেই দেখে নিন,
গায়ে কোনো সুঁই-সুঁচ ফুটো নেই,
কোনো নেশা নেই;
তবু ডুবে আছি অন্ধকারে!

(৩)

আমি একা পথ চলছি
পৃথিবীর পথে, কোনো অজানায়
শতকোটি বছর ধরে কন্টকের পথে
অন্ধকার পৃথিবীর আঙ্গিনায় |
আমার দু’চোখ আলো খুঁজে ফিরে
বন্দর থেকে বন্দরে ,
সাইবেরিয়া থেকে সাহারায়
কিংবা আরব মরু উপত্যকায়
বাবেল থেকে ব্ল্যাক সী
আমি শুধু অন্ধকারেই হেঁটেছি |

অন্ধকার নিয়ে কবিতা

অন্ধকার

                 জীবনানন্দ দাশ

গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দে জেগে উঠলাম আবার;
তাকিয়ে দেখলাম পাণ্ডুর চাঁদ বৈতরণীর থেকে তার অর্ধেক ছায়া
গুটিয়ে নিয়েছে যেন
কীর্তিনাশার দিকে।

ধানসিড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়েছিলাম— পউষের রাতে—
কোনোদিন আর জাগবো না জেনে
কোনোদিন জাগবো না আমি— কোনোদিন জাগবো না আর—

হে নীল কস্তুরী আভার চাঁদ,
তুমি দিনের আলো নও, উদ্যম নও, স্বপ্ন নও,
হৃদয়ে যে মৃত্যুর শান্তি ও স্থিরতা রয়েছে
রয়েছে যে অগাধ ঘুম
সে-আস্বাদ নষ্ট করবার মতো শেলতীব্রতা তোমার নেই,
তুমি প্রদাহ প্রবহমান যন্ত্রণা নও—
জানো না কি চাঁদ,
নীল কস্তুরী আভার চাঁদ,
জানো না কি নিশীথ,
আমি অনেক দিন— অনেক অনেক দিন
অন্ধকারের সারাৎসারে অনন্ত মৃত্যুর মতো মিশে থেকে
হঠাৎ ভোরের আলোর মূর্খ উচ্ছ্বাসে নিজেকে পৃথিবীর জীব ব’লে
বুঝতে পেরেছি আবার;
ভয় পেয়েছি,
পেয়েছি অসীম দুর্নিবার বেদনা;
দেখেছি রক্তিম আকাশে সূর্য জেগে উঠে
মানুষিক সৈনিক সেজে পৃথিবীর মুখোমুখি দাঁড়াবার জন্য
আমাকে নির্দেশ দিয়েছে;
আমার সমস্ত হৃদয় ঘৃণায়— বেদনায়— আক্রোশে ভ’রে গিয়েছে;

সূর্যের রৌদ্রে আক্রান্ত এই পৃথিবী যেন কোটি-কোটি শূয়োরের আর্তনাদে
উৎসব শুরু করেছে।
হায়, উৎসব!
হৃদয়ের অবিরল অন্ধকারের ভিতর সূর্যকে ডুবিয়ে ফেলে
আবার ঘুমোতে চেয়েছি আমি,
অন্ধকারের স্তনের ভিতর যোনির ভিতর অনন্ত মৃত্যুর মতো মিশে
থাকতে চেয়েছি।

হে নর, হে নারী,
তোমাদের পৃথিবীকে চিনিনি কোনোদিন;
আমি অন্য কোনো নক্ষত্রের জীব নই।
যেখানে স্পন্দন, সংঘর্ষ, গতি, যেখানে উদ্যম, চিন্তা, কাজ,
সেখানেই সূর্য, পৃথিবী, বৃহস্পতি, কালপুরুষ, অনন্ত আকাশগ্রন্থি,
শত-শত শূকরের চিৎকার সেখানে,
শত-শত শূকরীর প্রসববেদনার আড়ম্বর;
এই সব ভয়াবহ আরতি!

গভীর অন্ধকারের ঘুমের আস্বাদে আমার আত্মা লালিত;
আমাকে কেন জাগাতে চাও?
হে সময়গ্রন্থি, হে সূর্য, হে মাঘনিশীথের কোকিল, হে স্মৃতি, হে হিম হাওয়া,
আমাকে জাগাতে চাও কেন।

অরব অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দে জেগে উঠবো না আর;
তাকিলে দেখবো না নির্জন বিমিশ্র চাঁদ বৈতরণীর থেকে
অর্ধেক ছায়া গুটিয়ে নিয়েছে
কীর্তিনাশার দিকে।
ধানসিড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়ে থাকবো— ধীরে— পউষের রাতে—
কোনোদিন জাগবো না জেনে—

কোনোদিন জাগবো না আমি— কোনোদিন আর।

শেষ কথা:  অন্ধকার শুধুমাত্র ভয় এবং শূন্যতা নয়, বরং এ এক উপলব্ধির সময়, স্পষ্টভাবে স্বপ্ন দেখার সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *